শাবিপ্রবি’র ২০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করে পুলিশের মামলা

Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on linkedin
LinkedIn
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ডা. ওমর আলী সিলেট বিভাগীয় সংবাদদাতা// সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণার পর উপাচার্যের অপসারণের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলছে।

রবিবারের ঘটনায় অন্তত ২শ’ শিক্ষার্থীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।এদিকে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনে যোগ দিয়ে সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় চেয়েছেন দলটির নেতারা।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা বিবেচনায় নেব এবং প্রশাসনও বিবেচনায় নেবে। তবে তা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি হয়।সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণার পর উপাচার্যের অপসারণের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলছে।

রবিবারের ঘটনায় অন্তত ২শ’ শিক্ষার্থীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনে যোগ দিয়ে সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় চেয়েছেন দলটির নেতারা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা বিবেচনায় নেব এবং প্রশাসনও বিবেচনায় নেবে।

তবে তা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি হয়।সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণার পর উপাচার্যের অপসারণের একদফা দাবিতে আন্দোলন চলছে। রবিবারের ঘটনায় অন্তত ২শ’ শিক্ষার্থীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, পুলিশের উপ-পরিদর্শক আব্দুল হান্নান বাদী হয়ে প্রায় ২০০ জনের বিরুদ্ধে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। তবে অসমর্থিত সূত্রে জানা যায়, রবিবারের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে আসামি করে জালালাবাদ থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।এদিকে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার দুপুরে আন্দোলনে যোগ দিয়ে সমস্যা সমাধানে কিছুটা সময় চেয়েছেন দলটির নেতারা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা বিবেচনায় নেব এবং প্রশাসনও বিবেচনায় নেবে।

তবে তা যেন এই বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি হয়।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়া চলছে। শাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি তুলসী কুমার দাস বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই আমরা এই সংকট সমাধান করতে চাই। আমাদের সমিতির নেতারাও একই মত প্রকাশ করেছেন।এরপরও ভিসি অপসারণের আন্দোলনে অনড় অবস্থানের কথা জানালেন শিক্ষার্থীরা। আর সময় দেবেন কিনা সিদ্ধান্ত জানাবেন ফোরামে আলোচনার পর।

শিক্ষার্থীরা জানান, ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এক দফার আন্দোলন চলবে।এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে জমায়েত হতে থাকে শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি বরাবর উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানিয়ে চিঠি পোস্ট করা হয়। পাশাপাশি শ্লোগানে শ্লোগানে জানান দেয় উপাচার্যের অপসারণের দাবি।এর আগে, সোমবার দুপুর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত উপাচার্যের বাসভবন আবারও ঘেরাও করে আন্দেলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

পরে ক্যাম্পাসের ভেতর ভিসি বিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তারা।উল্লেখ্য, তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়ায় রবিবার বিকেলে মিছিল থেকে উপাচার্যকে ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। হামলা এড়াতে আইসিটি ভবনে আশ্রয় নেন উপাচার্য। এসময় সেই ভবনে তালা দিয়ে ভিসিকে অবরুদ্ধ করে চলে বিক্ষোভ। দফায় দফায় শিক্ষক প্রতিনিধিরা আলোচনার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়, পরে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। আলোচনায় ব্যর্থ হয় পুলিশও। এক পর্যায়ে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে ও লাঠিচার্জ করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

প্রায় ৩ ঘন্টা পর পুলিশি অভিযানে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করা হয় শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদকে। এ সময় সংঘর্ষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পুলিশসহ আহত হয় অর্ধশতাধিক। আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ জন শিক্ষার্থী।এরপর পরিস্থিতির অবনতি হলে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

সন্ধ্যায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের পর এক জরুরি সভায় শাবিপ্রবির ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধের এই সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট। এছাড়া, শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা পদত্যাগ করেছেন, তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন অধ্যাপক ড. নাজিয়া চৌধুরী।